এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বেড়েছে জিপিএ-৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাসের হার গড়ে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশী। গত বছর ছিল পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মাদ্রাসা দাখিলে ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং কারিগরির বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় পাসের হার ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৩৪, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৩১, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.২২, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০.৩১, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৭০, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৭৯, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮২.৭৩, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৪.৭৫।
তার মধ্যে এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৮ জন পরীক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ২৮৪ জন বেশি পরীক্ষার্থী ফলের সর্বোচ্চ এই সূচক অর্জন করেছে। গতবার মোট ১ লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
প্রসঙ্গত যে, চলতি বছরের ৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা চলে। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। বিদেশে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয় ৩৪২ জন।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন। ছাত্রের তুলনায় ৫১ হাজার ৪০৪ জন ছাত্রী বেশি।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী বেশি ১২ হাজার ৯৭৮ জন।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।