পজিটিব নেগেটিভ ভোগান্তি
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে, বাড়ছে নমুনা পরীক্ষায় ভুল ফলের সংখ্যা। একই নমুনা কখনও পজিটিভ আসছে, কখনও আসছে নেগেটিভ। বিশেষজ্ঞরা জানান, সঠিক প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা না হলে ভুল ফল আসতে পারে। এছাড়া, নমুনা সংগ্রহে দক্ষ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবও ভুল রিপোর্টের জন্য দায়ী।
ফারজানা আকতার। সংবাদকর্মী। করোনার উপসর্গ নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নমুনা দিয়েছেন একাধিকবার। ফল কখনও পজিটিভ, কখনও নেগেটিভ এসেছে।
করোনাভাইরাসের ভুল রিপোর্ট নিয়ে এমন ভোগান্তির অভিযোগ অনেকেরই। বিশেষজ্ঞরা জানান, পরীক্ষার ফল নির্ভর করে সংক্রমিত হওয়ার দিনের ওপর। সংক্রমণের প্রথম দুদিনের মধ্যে নমুনা নেয়া হলে কিছুই ধরা পড়বে না। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ দিনে নেয়া হলে সঠিক ফল পাওয়া যাবে। আবার সপ্তম দিনের পর নমুনা পরীক্ষায় কিছু না-ও ধরা পড়তে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকতে হবে। সেই হিসেবে দেশে ১ লাখ ৫০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। অথচ আছে মাত্র ৫১৬৫ জন। তাদের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করছেন ৫০০ জন।
জনস্বাস্থ্যবিদরা জানিয়েছেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে ল্যাবে পরীক্ষা সঠিকভাবে শেষ করতে দরকার দক্ষ কর্মীবাহিনী। অদক্ষ কর্মী দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।