পুলিশের আনাগোনায় একমাত্র গ্রামীণ মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে
গ্রামীণ পরিবেশ আমার পূর্বপুরুষের আবাসস্থল। যদিও পড়াশোনার তাগিদে শহরে থেকেছি কয়েক বছর। প্রত্যেক মাসে ১/২ বার গ্রামে না এসে কখন থাকতে পারিনি। বয়সে যদিও আমি কাঁচা কিন্তু গ্রামের অভিজ্ঞতাতে যথেষ্ট পাকা আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি
আমি তো গ্রামে করোনার কথা ভুলেই যাচ্ছি, ঘরে থাকা তো দূরের কথা। করোনার কথা মনে পড়ে তখন যখন করোনার আপডেট নিউজ শুনি ।গ্রামীন পরিবেশের অসচেতনতা ছোঁয়ায় আমার এরূপ পরিবর্তন হয়েছে ।মোটামুটি পড়াশোনা জানা আমি ,আমার যদি এরূপ অবস্থা হয় তাহলে যাদের পড়াশোনা নেই তাদের কি অবস্থা আন্দাজ করার কথা। একটু বিস্তারিত করে বলছি
যদিও লোকসমাগম নিষিদ্ধ কিন্তু হাট বাজারে গেলে তো বুঝা যায়না এখন দেশে করোনা। চা স্টল বা হাট-বাজারে আগের মতই চলছে। মানুষের আনাগোনা সাথে তো গল্প-গুজব আছেই। করোনার প্রথমদিকে পুলিশের আনাগোনার প্রেক্ষিতে মাস্ক পড়া কিছুটা বেড়ে ছিল। নিশ্চিত কিছুটা লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ হয়েছিল। মনে একটু আতঙ্কও সৃষ্টি করেছিল পুলিশের আনাগোনা ।সেই আতঙ্ক থেকে করোনার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছিল ।কিন্তু এখন আর নেই আগের মতো পুলিশের আনাগোনা ।যার দরুন চারটা পর্যন্ত হাট-বাজার খোলার অনুমতি থাকলেও ৫/৭টা বেজে যায় । চায়ের দোকানে চলছে দিনে প্রকাশ্যে আর রাতে গোপনে ।এই পুলিশের আনাগোনায় প্রথমদিকে ভয় অনুভূতি সৃষ্টি করেছিল কিন্তু এখন আর সেই অনুভূতি হয় না ।গ্রামীণ মানুষের মনে এমন হয়েছে যেন বিষধর সাপের কামড় ভয় লাগে কিন্তু বিষধর সাপ নিয়ে অপরিপক্ক হাতে খেলতে ধরতে ভয় লাগে না । সাপ তো একদিন না একদিন কামড় দিবেই ।এটা কোন দুর্ঘটনা হবে না ,এটা হবে খাল কেটে কুমির আনার মতো