গ্রামীণ বৃষ্টি মানেই কি লোডশেডিং ?
প্রশ্নটা অদ্ভুত মনে হলেও গ্রামীণ মানুষের কাছে তা চিরন্তন সত্য । আমি নিজেও গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়েছি বলেই , স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণ আছে বলেই লিখতে বসেছি ।
কয়েকদিন থেকে বর্ষার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে গ্রামের পরিবেশে । মেঘের ডাকে সাথে সাথে বিদ্যুৎ যেন হাওয়াই মিঠাই এর মিলিয়ে যায় । আর বিদ্যুৎ আসা যেন কলম্বাসের আটলান্টিক মহাসাগর যুগে আমেরিকা আবিষ্কারের মতো দুর্লভ সাধন করা। মাঝে মাঝে মনে হয় নাকি করোনা প্রভাব পড়েছে বিদ্যুতে ।
কেনই বা মনে হবে না যখন দেখি সারারাত বিদ্যুৎ নেই ,দুপুরে সামান্য আসে আর বিকালে খানিকটা সময় ।এই অভিজ্ঞতা শুধু আমার একার না, প্রতিটি গ্রামের মানুষের কাছে চিরচেনা একটি বিষয় । তাহলে কি গ্রামীণ বৃষ্টি মানেই লোডশেডিং? নাকি গ্রামীণ মানুষদের উপেক্ষা করা হয়? নাকি উচ্চপদস্থ ব্যক্তির ফোন করার অভাব?
কেননা ফোন করলেই শুধুমাত্র টনক নড়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের ।কর্মকর্তারাও বেশ পারে। তারাও বুঝে ,গ্রামীণ মানুষের কষ্ট করার সাধ্য আছে। করলে তারাই করুক, বাবুসাবরা তো কিছুটা আয়েশ পাবে। গ্রামীণ মানুষরা কষ্ট সহ্য করতে ভালবাসে আর পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তারা গ্রামীণ মানুষদের কষ্ট দিতে ভালোবাসে। কষ্ট দেওয়া ও কষ্ট সহ্য করা এক অপার মিলবন্ধন সৃষ্টি করেছে। যেন চিরকালের দেবদাস-পার্বতী,’ অমিত- লাবণ্য, লাইলি-মজনু ,শিরি-ফরহাদের ভালোবাসার চেয়ে বড় এই অপার মিলবন্ধন।
শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল, ঈশ্বরগঞ্জ